গাজাগামী মানবিক নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে আটক হয়েছে। ইসরায়েলের ‘অবৈধ অবরোধ ভাঙার’ উদ্দেশ্যে নতুন সমুদ্রপথে আরেকটি নৌবহরে এগিয়ে যাচ্ছেন দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আলোকচিত্রী শহিদুল আলম।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক এক ভিডিওতে শহিদুল আলম বলেন, তথ্যপ্রবাহ সীমিত থাকায় সব খবর যাচাই করা সম্ভব হচ্ছে না তাই তিনি সময়মতো নিজেদের আপডেট জানাতে থাকবেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, আমাদের জাহাজটি আরও আটটি নৌযানের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিল। ফ্লোটিলা আটকের পর বর্তমানে এই নয়টি জাহাজই গাজার উদ্দেশ্যে যাত্রা অব্যাহত রেখেছে এবং এটিকেই শেষ নৌবহর হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই কৌশল হিসেবে মূল ফ্লোটিলা থেকে আলাদা হয়ে অবরোধ ভাঙার পরিকল্পনা করেছিলাম।
তিনি আরও জানান, তাদের জাহাজের উদ্দেশ্য মূলত মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া নয়, বরং ইসরায়েলের আরোপিত ‘অবৈধ অবরোধ’ চ্যালেঞ্জ করা। তবে গাজার জনগণের ওপর বোঝা না চাপাতে পর্যাপ্ত রসদ তারা সঙ্গে বহন করছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো গাজায় নারী, শিশু, সাংবাদিক ও চিকিৎসকসহ অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো। বিশেষ করে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের প্রবেশাধিকার বন্ধ থাকায় তারা মিডিয়া অবরোধ ভাঙার প্রতিজ্ঞা নিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম জানান, সমুদ্রপথ আপাতত শান্ত থাকলেও আবহাওয়া অপ্রত্যাশিত হতে পারে। আসন্ন ইসরায়েলি ঝুঁকি সম্পর্কে তারা সচেতন আছেন এবং শুরু থেকেই এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তাদের জাহাজটিতে ক্রু, ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ও আয়োজক মিলিয়ে মোট ৯৬ জন আরোহী রয়েছেন। এর মধ্যে ৮২ জনই গণমাধ্যমকর্মী ও চিকিৎসক।
তিনি আরও জানান, আগের রাত তারা জেগে কাটিয়েছেন ফরাসি এনজিও ‘মেদসাঁ সঁ ফ্রোঁতিয়ের’-এর ১৪তম চিকিৎসকের মৃত্যুসংবাদ নিয়ে আলোচনায়। তাদের অভিযোগ, এ বিষয়ে ফরাসি সরকার কেবল বক্তব্য দিলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শহিদুল আলম বিশ্বাস করেন, জনগণের ভালোবাসা ও উৎসাহই তাদের শক্তি জোগাচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত ফিলিস্তিন মুক্ত হবে।